৪১ ওভারে বাংলাদেশকে ১৫০ রান টার্গেট দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সংগৃহিত ছবি।

সারাবিশ্বডটকম অনলাইন নিউজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রবিবার (১০ জুলাই) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচ শুরু হয় দুই ঘণ্টা দেরিতে। তাতে কমে যায় খেলার দৈর্ঘ্যও, নির্ধারিত হয় ম্যাচ হবে ৪১ ওভারে। 

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৯ উইকেটে মাত্র ১৪৯ রানে আটকে দিলো বাংলাদশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই শেই হোপকে ফিরিয়ে উইন্ডিজ শিবিরে আঘাতের শুরুটা করেন মুস্তাফিজুর রহমান। শূন্য রানে মুস্তাফিজের ইনসুইঙ্গারে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন হোপ। এরপর অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ উইকেট প্রায় পেয়েই গেছিলেন। তবে বিতর্কিত এক রিভিউতে বেঁচে যান শামারাহ ব্রুকস।তবে অসাধারণ বোলিংয়ে উইন্ডিজের ওপর চাপ বজায় রাখেন নাসুম। প্রথম স্পেলে ৬ ওভারে ৩ মেডেনে ৪ রান দিয়ে চাপে রাখায় অন্য বোলারদের উইকেট দিতে বাধ্য হয় উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। কাইল মায়ার্স মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন মাত্র ১০ রান। ব্রুকস কিছুটা প্রতিরোধ গড়লে ৩৩ রান করে ফেরেন শরিফুল ইসলামের বলে। ৯ রান করে ব্রেন্ডন কিংও শরিফুলের শিকার হন। এরপর ৯ রান করে মিরাজের বলে এলবির শিকার হয়ে ফেরেন রোভম্যান পাওয়েল।

ইনিংসে এক বলে দুইবার আউট থেকে বেঁচে যাওয়া উইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরানও ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর আকিল হোসেন মিরাজের দারুণ থ্রোতে ৩ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৯৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা উইন্ডিজদের তখন শতক পার করান রোমারিও শেফার্ড। ১৬ রান করে শরিফুলের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। একই ওভারে গুড়াকেশ মোতিয়ে ফেরেন ৭ রান করে।

শেষ উইকেটে অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও জেডন সিলস উইন্ডিজ ইনিংসের সেরা জুটি গড়েন। দুইজন শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রান তুলে দেড়শ রানের লক্ষ্য দাঁড় করান। ফিলিপ ২১ ও সিলস ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসার ৮ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারসেরাও। মিরাজ ৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। অভিষিক্ত নাসুম উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে দেন মাত্র ১৬ রান। অভিষেকে করেন ৪০টা ডট বল।