সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে প্রকল্প প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে— হাওর অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত গ্রামীণ ডুবন্ত সড়ক, যা কেবল শুস্ক মৌসুমে ব্যবহার করা যায়। বর্ষা মৌসুমে নৌ-পরিবহনই এখানকার প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। এরূপ অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও পরিবহন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, সামাজিক সুবিধাদিও প্রাপ্যতা, বিশেষত-শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রভৃতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও দিরাই উপজেলা এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল, নবীনগর ও নাসিরনগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত রাস্তাসহ ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর একটি সমীক্ষা প্রকল্প অনুমোদিত হয়। সে মোতাবেক হাওর অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ঠিক রেখে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সেন্টার ফর ইনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফি ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) একবছর ব্যাপী সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
পিইসি সভার সিদ্ধান্ত: প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রকল্প এলাকায় (বারহাট্টা, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভপুর, মোট ৫টি উপজেলা) যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য জামালগঞ্জ উপজেলা থেকে ধর্মপাশা উপজেলা ভায়া সাচনা বাজার-সুখাইর-জয়শ্রী বাজার পর্যন্ত সড়ক এবং অন্যান্য রাস্তার সংস্থান রেখে অবশিষ্ট কাজ বাদ দিতে হবে।প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার অল সিজন উপজেলা সড়ক, ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার অল সিজন ইউনিয়ন সড়ক, ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার সাবমার্জিবল উপজেলা সড়ক এবং ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সাবমার্জিবল ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক নির্মাণ। এ ছাড়া ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক এবং ৫ হাজার ৬৮৮ মিটার ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ‘এই এলাকায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সারাবছর মালামাল পরিবহন, উৎপাদিত কৃষি পণ্য, মৎস্য সম্পদ ইত্যাদি দ্রুত ও সুলভে পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে।’