হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কথা বলছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহিত।

সারাবিশ্বডটকম অনলাইন ডেস্ক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘আমি মনে করি, হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। মানুষের জীবন ও জীবিকা নষ্ট করে ইজারা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। যেসব এলাকায় সমস্যা, আপনারা আমাদের জানাবেন প্লিজ। আমরা সেখানে যাব।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় হাওর সংলাপ ২০২৪–এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে বারসিক, এএলআরডি ও বেলা। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকার হাওর রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা অংশ নেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, হাওরে যেমন প্রাণিসম্পদ আছে, ধানও আছে। একটা সময় হাওরে অনেক প্রজাতির ধান ছিল, এখন সেগুলো নেই। এখন হাওরে হাইব্রিড লাগানো হচ্ছে, ফলে এর জন্য কীটনাশক ব্যবহার করে প্রাণিসম্পদ নষ্ট হচ্ছে। মেশিন দিয়ে ফসল কাটা হচ্ছে। এই মেশিন হাওরে নামার ফলে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি কৃষি উপদেষ্টাকে জানিয়েছি, হাওরের ধানে যেন কীটনাশক না দেয়। মা মাছকে রক্ষা করতে হবে।

ফরিদা আখতার বলেন, দেশের হাওরে অনেক প্রজাতির মাছ আছে। কিন্তু হাওরের সঙ্গে গবাদি পশুও যুক্ত। পশু, পাখি, হাঁস-মুরগিও আমাদের হাওরের ওপর নির্ভরশীল। এটা আমাদের জানা নেই। এই প্রাণিসম্পদের কোনো একটা ছাড়াও আমরা চলতে পারব না। হাওর যেভাবেই হোক রক্ষা করতে হবে। হাওর রক্ষায় ব্যর্থ হলে এই মন্ত্রণালয়ের কোনো দরকারও নেই।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিকের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস, এএলআরডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানজিদা খান রিপা। বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, বেলার নির্বাহী প্রধান তাসলিমা ইসলাম, ড. হালিম দাদ খান প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।