সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: মাছ-মাংসে হাত দিতে পারেন না অনেক সাধারণ ক্রেতা। সবজির বাজারও চলে যাচ্ছে তাদের নাগালের বাইরে। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম চলতি সপ্তাহে অপরিবর্তিত আছে।
বর্তমান বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। ব্যতিক্রম পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। বরবটি, টমেটোর দাম এখন ১০০ টাকা। এছাড়া সেঞ্চুরি করে প্রতি কেজি গাজর এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৮০ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।
শুক্রবারের (২২ সেপ্টেম্বর) বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যার মধ্যে লম্বাকৃতির বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকায় এবং ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস জালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম বলতে পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, মূলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা আর কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা আর আগের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া, ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। তবে লেয়ার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এছাড়া দেশি মুরগির দাম আগের মতোই আছে।
তিনি আরও বলেন, সোনালি ৩১০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ৩২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। খুচরা বাজারে কোনো মনিটরিং না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।
তালতলা বাজারে মো. সাইদুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা দরে মুরগি কিনেছি। আজ ১৯০ টাকায় কিনলাম। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে সুবিধা নিচ্ছেন। বাজার মনিটরিংয়ের দুর্বলতার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা , মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাস ১৯০ থেকে ২২০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১২০০ টাকায় এবং পাঁচমেশালি চাষের মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।