শিক্ষকদের অনুপস্থিতি তদারকির নির্দেশ মাউশির

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ।

সারাবিশ্বডটকম অনলাইন ডেস্ক: নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও শিখন ঘাটতি পূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জরুরি নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। একইসঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। 

মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী এ নির্দেশনা দেন। আদেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন, কভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি পূরণ ও শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।আদেশে বলা হয়, ‘নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২’ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন টিচিং-লার্নিং অ্যাপ্রোচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন যেমন- প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি, শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবার কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রতিষ্ঠান-প্রধান, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি। দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে শিক্ষকদের ও তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে- কোনও কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কোনও কোনও শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিরও কোনোরূপ নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আদেশে আরও বলা হয়, এ ছাড়া কোভিড-১৯ অভিমারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। ফলে এখন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়াসহ গভীর নজর দেয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতি- এ কার্যক্রমসহ শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ণ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি সক্রিয় তদারকি করবে। শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন। কভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখা। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।