অনলাইন ডেস্ক: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ভুল রাজনীতির কারণে বাংলাদেশে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক দলকে এখন হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজতে হয়। বিএনপি এতো ভ্রান্ত রাজনীতি করেছে এবং আকুন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে যে, এখন ভাড়ায় নেতা এনে তাদের দল চালাতে হচ্ছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত, দ্বিতীয় প্রধান তারেক জিয়া সেও দণ্ডপ্রাপ্ত, ভাড়া করে ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনিও নির্বাচন করেননি। মানুষ তো বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি তাদের বিপর্যয়ের অবস্থা বুঝতে পেরেই উপজেলা নির্বাচনে আসছে না।
আগামী নির্বাচনগুলোতে বিএনপির নির্বাচনে না আসার ঘোষণা প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, আমরা কাউকে আমন্ত্রণ করে বাড়ি থেকে নিয়ে আসব না। তারা (বিএনপি) এসে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তাদের যোগ্যতা আছে কি না, তা প্রমাণ করার দায়িত্ব বিএনপির। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে প্রমাণিত হবে বিএনপিকে মানুষ চায় কি চায় না।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অঙ্গিকার ছিলো গ্রামের মানুষকে নগরের সুযোগ প্রদান করা। তাই শহরের মানুষের ন্যায় গ্রামের মানুষকে সব ধরনের সেবামূলক সুযোগ সুবিধা প্রদান করার জন্য আমরা কাজ করছি। কোনো একজন মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। বস্ত্রবিহীন থাকবে না, রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে না।
এ ছাড়াও দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি উল্লেখ্য করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রনালয়ে কোনোভাবে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। সে কর্মচারী বা কর্মকর্তা যে-ই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধী সৌধের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল খায়ের, সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, পিএন্ডডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালিম, উপ-বিভাগী প্রকৌশলী (সিভিল)মির্জা শিবলী মাহমুদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ই/ম) মোঃ অলীদুল ইসলাম খানসহ মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা,সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা, সাবেক পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।