সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: আমাদের চিন্তা-ভাবনা, আবেগ অনুভূতি, ক্ষুধাবোধ, স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি থেকে শুরু করে সবই নির্ভর করে মস্তিষ্কের উপর। সুস্থ স্বাভাবিক থাকার জন্য মস্তিষ্কের সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরি। তবে আমরা নিজের অজান্তেই এমন কিছু অভ্যাস রপ্ত করে ফেলি যা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।
১। পর্যাপ্ত না ঘুমানো
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া মস্তিষ্কের জন্য খুবই খারাপ। মস্তিষ্কের বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ না পেলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমের অভাব ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। মস্তিষ্কের সুস্থতায় নিয়মিতভাবে প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত ঘন্টা ঘুমানো জরুরি। ঘুমের সমস্যা যেমন স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমাধান করাও গুরুত্বপূর্ণ।
২। দীর্ঘসময় একাকী থাকার অভ্যাস
সামাজিকীকরণ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একা একা খুব বেশি সময় কাটানো মস্তিষ্কের জন্য ঠিক ততটাই খারাপ হতে পারে যতটা পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। আপনি যখন ক্রমাগত অন্যান্য মানুষের কাছাকাছি থাকেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক সামাজিক মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্দীপনা পায়। দীর্ঘসময় একাকী থাকা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং এমনকি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেচাইলে নিয়মিত বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর বিকল্প নেই।
৩। অতিরিক্ত ভলিউম দিয়ে গান শোনা
গান আমাদের মস্তিষ্ককে শিথিল এবং শান্ত করে। কিন্তু যদি এত জোরে গান শোনেন যে হেডফোন বিস্ফোরণ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, তবে আপনি শ্রবণশক্তির ক্ষতি করছেন। শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া ব্যক্তিদের আলঝাইমার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিছু গবেষক অনুমান করেন যে এর কারণ মস্তিষ্ক শ্রবণে খুব বেশি পরিশ্রম করে। তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে চাইলে অতিরিক্ত ভলিউমে একটানা গান শুনবেন না।
৪। অন্ধকারে খুব বেশি সময় কাটানো
অন্ধকারে খুব বেশি সময় ব্যয় করলে মস্তিষ্ক সূর্যের আলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পায় না। এর ফলে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার এবং ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা হতে পারে। মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত বাইরে বের হওয়া জরুরি।
৫। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা
নেতিবাচক চিন্তা করা একটি অভ্যাস যা আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। ক্রমাগত উদ্বিগ্ন থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এটি বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যাগুলোর কারণ হতে পারে।
৬। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকা
একটানা মোবাইল ফোন স্ক্রল করা বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকা মস্তিষ্কের জন্য বেশ ক্ষতিকর। চেষ্টা করুন কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নিয়ে অন্য কাজ করতে।
৭। কম শারীরিক পরিশ্রম করা
অলস থাকা শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যও ক্ষতিকর। শারীরিক পরিশ্রম করলে মস্তিষ্কের কোষে ঠিকঠাক অক্সিজেন পৌঁছে ও মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া