সারাবিশ্বডটকম অনলাইন ডেস্ক: গত মার্চ মাসে করোনা প্রতিরোধে টিকার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রায় দুই মাস পর আবারও চালু হচ্ছে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া ফাইজারের ভ্যারিয়েন্ট কনটেইনিং (ভিসিভি) টিকা দেওয়া হবে তৃতীয় এবং চতুর্থ ডোজ হিসেবে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) কোভিড-১৯ ফাইজার ভ্যারিয়েন্ট কনটেইনিং ভ্যাকসিন (ভিসিভি) কার্যক্রম সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে দেওয়া এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসিএএইচ’র লাইন ডিরেক্টর ডা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় বলা হয়, ১৮ বছর বয়স থেকে ঊর্ধ্বে সব জনগোষ্ঠী এই টিকা নিতে পারবেন। ২য় ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের কমপক্ষে ৪ মাস পর তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। তৃতীয় ডোজ প্রদানের কমপক্ষে ৪ মাস পর চতুর্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।
৪র্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৬০ বছর বা ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী (ইম্যুনোকম্প্রোমাইজ), গর্ভবতী মা এবং ফ্রন্ট লাইনারদের ভিসিডি ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।
টিকা গ্রহণ প্রসঙ্গে শ্যামলী ২৫০ বেড টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, তৃতীয় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের চার মাস পর নেওয়া যাবে। আর চতুর্থ ডোজ নিতে হলে এসএমএস’র অপেক্ষা করতে হবে। তৃতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পর যদি এসএমএস না আসে তাহলে কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ টিকা স্বল্পতার কারণে করোনা প্রতিরোধী বুস্টার ডোজ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। কোভ্যাক্স থেকে টিকা পেলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মাঝে আবার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেইনিং ভ্যাকসিন) তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা/উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে এ সপ্তাহ থেকেই দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন।
তিনি বলেন, এই টিকাটি নতুন উদ্ভাবিত টিকা এবং বিভিন্ন দেশে দেওয়া হচ্ছে। বুস্টার ডোজ হিসাবে আমরা এই টিকাটি দেবো।