সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: এইচ৩এন৮ বার্ড ফ্লু সংক্রমণে প্রথম মানবের মৃত্যু রেকর্ড করেছে চীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, চীনে এই ভাইরাস সংক্রমণে একজন নারী মারা গেছেন, যা এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা স্ট্রেইন থেকে মানব মৃত্যুর প্রথম জ্ঞাত ঘটনা।
২০০২ সালে উত্তর আমেরিকার জলচর পাখির মাঝে এইচ৩এন৮ ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়, যা ঘোড়া, কুকুর ও সীলের মতো প্রাণীকে সংক্রামিত করতে পারে।ডব্লিউএইচও জানায়, মৃত নারী দক্ষিণ-পূর্ব চীনের গুয়াংডং প্রদেশের। তার বয়স ৫৬ বছর। তিনি গত ২২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ৩ মার্চ গুরুতর নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ও ১৬ মার্চ মারা যান।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, রোগীর আক্রান্ত হওয়ার একাধিক কারণ পাওয়া গেছে। জীবিত মুরগির সংস্পর্শে এসেছিলেন ও তার বাড়ির চারপাশে বন্য পাখির উপস্থিতি ছিল। তবে ওই নারীর ঘনিষ্ঠ কারও মাঝে সংক্রমণ বা অসুস্থতার লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
জীবিত প্রাণী বিক্রি হয় এমন বাজারও সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তবে এখনও স্পষ্ট নয় যে সংক্রমণের উৎস কী এবং ভাইরাসটি কীভাবে প্রাণীদের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা অন্যান্য এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত। এ বিষয়ে আরও তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও।
গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে চীনে মানব শরীরে এই ফ্লু শনাক্ত হয়। এর মধ্যে একজনের গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করে, অন্যজনের অসুস্থতা ছিল মৃদৃ। উভয় ক্ষেত্রেই সম্ভবত সংক্রামিত হাঁস-মুরগির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাহক হিসেবে কাজ করেছে।
জেনেভাভিত্তিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভাইরাসটি ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সহজে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে না। তাই জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্তরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।
তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্রমাগত পরিবর্তনজনিত প্রকৃতির কারণে এটি অন্যান্য উপলক্ষ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই বিশ্বব্যাপী নজরদারির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স, আল জাজিরা