সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: দেশ থেকে অনুমোদন ছাড়া ডায়াবেটিস স্ট্রিপ দেশে এনে বহুজাতিক কোম্পানির নকল মোড়কে বাজারে ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে ফার্মা সল্যুশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আর এসব নকল মোড়ক তৈরি করা হচ্ছে রাজধানীর নয়াপল্টনে “প্রিন্ট ওয়ান” নামে একটি প্রতিষ্ঠানে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ডায়াবেটিসের নকল স্ট্রিপ বিক্রয় প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এ দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ এমন কাজ করছে কি-না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাজারে কী পরিমাণ অননুমোদিত ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বাজারজাত করছে, সেই তথ্য প্রতিষ্ঠানটির কাছে চেয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। তবে প্রতিষ্ঠানটি এখনো সেই তথ্য অধিদপ্তরকে জানায়নি।
সভায় অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি “ফার্মা সল্যুশন”এর প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই ব্যাচের স্ট্রিপ তাদের প্রতিষ্ঠানের নয় বলে তদারকি টিমকে জানানো হয়। এরপর লাজ ফার্মার কাকরাইল শাখায় তদারকিতে গিয়ে দেখা যায়, বর্ণিত ব্যাচের স্ট্রিপ প্রতিষ্ঠানটি ফার্মা সল্যুশন থেকে ক্রয় করেছে। এ সময় লাজ ফার্মা ক্রয় রশিদ তদারকি টিমকে সরবরাহ করে।
তিনি জানান, নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপের উক্ত ব্যাচ নম্বর দিয়ে এর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রোশ’র (প্রসিদ্ধ জার্মানি ওষুধ ও মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান) কাছে ই-মেইল করে জানা যায়, ওই ব্যাচের কোনো স্ট্রিপ তাদের প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিতই হয়নি।
এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ফার্মা সলুউশনের কুনিপাড়া বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযানে গিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়, প্রতিষ্ঠান লাজ ফার্মা কাকরাইল শাখায় বর্ণিত নির্দিষ্ট ব্যাচের নকল ডায়াবেটিস মাপার স্ট্রিপ সরবরাহ করেছে। এরপর জনস্বার্থে ফার্মা সলুউশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত শুনানিতে ফার্মা সলুউশন জানায়, তারা নয়াপল্টনের “প্রিন্ট ওয়ান” নামের প্রতিষ্ঠান থেকে এসব নকল ডায়াবেটিস মাপার স্ট্রিপের মোড়ক তৈরি করেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রিন্ট ওয়ানকেও জনস্বার্থে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।