সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকাবস্থায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (বিসিবি) থেকে নামে-বেনামে বিশাল অঙ্কের টাকা ঋণ নেওয়া হয়। যার বেশিরভাগ অর্থই আর ফেরত আসেনি। ফলে একপর্যায়ে তারল্য সংকটে পড়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাংকটির এমন আর্থিক দুরবস্থায় পড়ার কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ছাড়াও এস আলম গ্রুপের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের আগে তড়িঘড়ি করে ৩১৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার আদেশ জারি করে তৎকালীন পর্ষদ। এসব কর্মকর্তাই ব্যাংকটির ঋণ অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাদের পদোন্নতি বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকাবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ে একটি ফাংশনাল অডিট সম্পন্ন করা জরুরি বলেও মত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৯৩তম সভার স্মারকের বিষয়ে এমন মতামত এসেছে সমন্বয়কের পক্ষ থেকে।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ ব্যাংকটির বিভিন্ন পদে ৩৪২ নির্বাহী/কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ১৮ ও ২৫ আগস্ট বিভিন্ন পদে মোট ৩১৯ (১১৮ ও ২০১ জন) কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি করে সর্বশেষ ধাপে দেওয়া পদোন্নতি (১৮ ও ২৫ আগস্ট) পুরো বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। দুর্বল ব্যবস্থাপনা কাঠামো ও ভঙ্গুর আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পদোন্নতির এ অফিস আদেশ স্থগিত করার জন্য পর্ষদকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
প্রসঙ্গত, ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং আর্থিক অবস্থার দেখভাল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমন্বয়ক/পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং এর কমিটিগুলো পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।