পাঁচ দিন নীরব থাকার পর বিপিএল আবার ঢাকায়

অনলাইন ডেস্ক: সিলেট ঘুরে বিপিএল আবার রাজধানী ঢাকায়। পাঁচ দিন নীরব থাকার পর আবার সরব হচ্ছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম এলাকা এবং বিসিবি একাডেমি মাঠ।

আজ রবিবার সকাল সকাল বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলনে এসে হাজির হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস এবং শহিদ আফ্রিদির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ আর সৌম্য সরকারের রাজশাহীও চুটিয়ে অনুশীলন করলো। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামার আগে নিবিড় এক প্র্যাকটিস সেশন শুরু করলো সাকিব আল হাসানের ঢাকা।

এই তিন দলের অনুশীলন করার দুটি কারণ। এক নম্বর কারণ, গতকাল সিলেট পর্বের শেষ দিন এই চার দলের কারোরই খেলা ছিল না। তাই তারা আগে ভাগেই রাজধানীতে ফিরে এসেছিল। আর দ্বিতীয় কারণ হলো, আগামীকাল সোমবার থেকে শেরে বাংলায় যে তিন দিনের ছোট্ট তৃতীয় পর্ব শুরু হবে, সেখানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ঢাকা ডায়নামাইটস আর রাজশাহী কিংস- তিন দলেরই খেলা আছে।

দুপুর দেড়টায় প্রথম ম্যাচটি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রাজশাহী কিংসের মধ্যে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ঢাকা ডায়নামাইটস আর চিটাগাং ভাইকিংস। ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি তিন দিনে ছয় ম্যাচের পর আবার একদিন বিরতি (২৪ জানুয়ারি)। এরপর ২৫ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্দর নগরী চট্টগ্রামে চতুর্থ পর্ব।

সাত দলের ডাবল লেগের এ আসরের ২১+২১ = ৪২ ম্যাচের মধ্যে ঢাকায় সাত দিনের প্রথম পর্বে হয়েছে ১৪টি ম্যাচ। আর সিলেটে হয়েছে আটটি । অর্থাৎ মোট ২২টি ম্যাচ ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। আরও ২০ টি খেলা বাকি। ঢাকায় তিন দিনে হবে আরও ছয় ম্যাচ। তারপর চট্টগ্রামে হবে ১০ ম্যাচ।

এরপরও রাউন্ড রবিন লিগের চার খেলা বাকি থাকবে। সেই ম্যাচ গুলো হবে ঢাকায়; ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি। এরপর বিপিএল গড়াবে নক আউট পর্বে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই পর্বে থাকবে পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে থাকা চার দল। কোন চার দল থাকবে সেই পর্বে?

কাজেই এখন লিগ টেবিল দেখে আগাম কিছু বলা যাবে না, কোন চার দল এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার খেলবে? তারপরও ৬ ম্যাচে সর্বাধিক ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট (+১.৯৪২ নেট রানরেট) নিয়ে সবার ওপরে থাকা সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসের অবস্থান অনেক মজবুত। শতভাগ নিশ্চিত, একথা বলা না গেলেও সেরা চার দলে থাকার লড়াইয়ে বাকিদের চেয়ে ঢাকা অনেক এগিয়ে।

সাকিবের ঢাকার পর পরই পয়েন্ট টেবিলে স্থান মুশফিকুর রহীমের চিটাগং ভাইকিংস ও তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে পাওয়া ৮ পয়েন্ট (+০.৩৫৬ নেট রানরেট) নিয়ে চিটাগাংও শীর্ষ চারে থাকার দৌড়ে বেশির ভাগ দলের চেয়ে এগিয়ে।

অন্যদিকে এ মুহূর্তে সেরা চারে আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও। দলটির সংগ্রহ ভান্ডারে জমা পড়েছে ৮ পয়েন্ট, ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে, নেট রানরেট ০.২২৬। গতবারের চ্যাম্পিয়ন মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুর রাইডার্স ৭ ম্যাচে ৩ জয় ৬ পয়েন্ট (+০.২৪৬ নেট রানরেট) আছে পাঁচ নম্বরে। তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে মিরাজের রাজশাহী কিংস। রাজশাহীর পয়েন্ট ৬ খেলায় ৬ (তিন জয়ে)।

কাজেই ধরে নেয়া যায়, ঢাকা ডায়নামাইটস, চিটাগাং ভাইকিংস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স আর রাজশাহীর যে কোন চার দলের সেরা চারে থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে ঢাকা ও সিলেট পর্ব শেষে ঢাকা, চিটাগাংয়ের অবস্থান বাকিদের চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ। এর পরপরই আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও। চার নম্বরে থাকা নিয়ে জোর লড়াই রংপুর ও রাজশাহীর।

ঢাকায় কাল থেকে যে তিন দিনের ছোট্ট পর্ব, সেখানে সমান দুটি করে ম্যাচ খেলবে ঢাকা ডায়নামাইটস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চিটাগাং ভাইকিংস, রাজশাহী কিংস ও খুলনা টাইটান্স। আর রংপুর ও সিলেট খেলবে মাত্র একটি করে ম্যাচ।