সারাবিশ্বডটকম অনলাইন রিপোর্ট: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাত্তরের ১৫ আগস্ট পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় ১৫ আগস্ট মা-বাবা হারানো যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও তার ভাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে কাছে ডাকেন এবং পিতা-মাতা হারানোর বেদনাতুর স্মৃতিচারণ করেন শেখ হাসিনা।
‘আয় কাছে আয়’ ডেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ওরা বড় হয়ে গেছে। ৫ বছরের পরশ ও ৩ বছরের তাপস, বাবা-মায়ের লাশ গুলি খেয়ে পড়ে আছে। দুটি বাচ্চা পাশে চিৎকার করছে, বাবা ওঠো-মা ওঠো। কেউ সাড়া দেয়নি।’
এ সময় শেখ তাপস ও পরশ পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কী নিষ্ঠুর নির্মম ঘটনা ঘটেছে আপনারা একটু চিন্তা করে দেখেন। সেই হত্যার পর বিচার চাওয়ার কোনও অধিকার ছিল না আমাদের। মামলা করার অধিকার ছিল না। আমি আর রেহানা বিদেশে ছিলাম। সে জন্য বোধহয় বেঁচে গিয়েছিলাম। আর এ বাঁচা কী দুঃসহ বাঁচা সেটা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন।’
এ সময় ১৫ আগস্টে তিনটি বাড়িতে ঘাতকদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, শহীদ সেরনিয়াবাত, উত্তরের সহ-সভাপতি সাদেক খান, এম এ কাদের খান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।