
অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি ঠেকাতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিন ধরে চলা ঠান্ডা যুদ্ধের রণ প্রস্তুতি ফিরিয়ে আনছে ওয়াশিংটন। ‘অ্যাস্টাল্ট ব্রেকার প্রোজেক্ট’ নামের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সাবেক সোভিয়েত বাহিনীর সাঁজোয়া বহর পশ্চিম জার্মানিতে ঢুকে পড়লে তাকে ব্যাপক বিমান হামলার মাধ্যমে ঠেকিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঠিক করেছিল আমেরিকা। খবর স্পুত্নিক ও এক্সপ্রেস ডট ইউকের।
রাশিয়া ও চীনকে রুখতে কৃতিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), হাইপারসনিক অস্ত্রসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রাধান্য বজায় রাখতে ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোজেক্ট এজেন্সি (ডারপা) নামের সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সংস্থা প্রায় পাঁচ দশক ধরে চলা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডা যুদ্ধের রণ-পরিকল্পনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ পরিকল্পনা অনুযায়ী দীর্ঘপাল্লার স্পর্শক সেন্সর, ক্ষেপণাস্ত্র এবং চৌকস-বোমাবাহী বিমান দিয়ে শত্রুর ট্যাংক ধ্বংস করা হবে। তবে এ কাজ সহজ হবে না বলে মনে করছে ‘ডারপা’। মার্কিন দুই শত্রুর হাতেই যুদ্ধ এলাকায় শত্রুর ঢোকার সক্ষমতা ঠেকিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এ সক্ষমতাকে ‘অ্যান্টি-অ্যাকসেস/অ্যান্টি এরিয়া ডিনাইয়াল’ বা ‘এ২/এডি’ বলা হয়। আর এতে শত্রুর ওপর হামলা চালানোর কাজে ব্যবহৃত পেন্টাগনের সক্ষমতা রীতিমতো বাধার মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শীতল যুদ্ধের সময় ইউরোপে রাশিয়ার আগ্রাসন ধ্বংস করাই ছিল ‘অ্যাসাল্ট ব্রেকারের’ প্রধান লক্ষ্য। ‘অ্যাসাল্ট ব্রেকার-২’ তে একই লক্ষ্য বাহ্যিকভাবে ঠিক রাখা হয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহার হবে মার্কিন বোমারু বিমান বহর। আর এর মাধ্যমে চীনা নৌশক্তিকে ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া। অপরদিকে যু্ক্তরাষ্ট্রও রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন করছে অভিযোগ করে তা না মানার ঘোষণা দিয়েছে। এমন অবস্থায় বিশ্বের পরাশক্তিধর দুই দেশের মধ্যে আবারও ঠান্ডা যু্দ্ধের আবহ ফিরে আসছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে রয়েছে অর্থনৈতিক পরাশক্তিধর দেশ চীন। তবে এমন ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপকে যুদ্ধের ময়দান হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।