ডাকবিভাগের সাবেক মহাপরিচালক, বিশিষ্ট রম্য লেখক-কে হারালো সিলেটবাসী।

অনলাইন ডেস্ক: ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক, বিশিষ্ট লেখক,শিক্ষাবিদ, গবেষক খ্যাতিমান রম্য লেখক বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান আতাউর রহমান স্যার নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)৷ মরহুম আতাউর রহমান ১৯৪২ সালে সিলেট সদর মহকুমার গোলাপগঞ্জ থানার নগর গ্রামের এক ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ৷ পড়াশোনা করেন ঢাকা দক্ষিণ হাই স্কুল,সিলেট এমসি কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ থেকে ১৯৬৪ সালে বিএ(অনার্স) ও ১৯৬৫ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন ৷ প্রথমে সিলেট শহরের মদন মদন মোহন কলেজে এবং পরে সিলেট এমসি কলেজের ইংরেজী বিভাগে প্রায় ৪ বছরের অধিক সময় অধ্যাপনা করেন৷ ১৯৬৯ সালে তিনি Central Superior Service পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে Pakistan Postal Service-এ যোগদান করেন৷ তিনি ডাক বিভাগের সর্বোচ্চ পদ মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০০২ সালে অবসর গ্রহন করেন ৷ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন ৷তিনি সাড়ে ৪ বছর লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে এবং আড়াই বছর রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন৷ তিনি দুই বার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ছিলেন৷ তাঁর চাচা মরহুম আবদুল মোক্তাদির ছিলেন হবিগঞ্জ মহকুমার এসডিও এবং ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ৷মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ২ পুত্র সন্তান রেখে গেছেন৷ তাঁকে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকরা হবে৷ তিনি ২০টির অধিক মূল্যবান গ্রন্থের রচয়িতা ৷ তাঁর পরদাদার ভ্রমণ কাহিনী,নঞ তৎপুরুষ,দুই দ’গুনে পাঁচ,নিদ্রাহীন নিশিথে,যৎকিঞ্চিৎ প্রভৃতি গ্রন্থ ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা পায়৷ তিনি সৌরভ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ছিলেন ৷ অনেক সাহিত্য পুরুসকার লাভ করেন৷ তিনি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য ছিলেন ৷ এসোসিয়েশনের সকল অনুষ্ঠানে তাঁর সরব অংশগ্রহণ ছিলো স্মরণে রাখার মতো৷ তাঁর মতো একজন জ্ঞানী,সংস্কৃতিবান ও সজ্জ্বন মানুষের অনুপস্থিতি সত্যিই পীড়াদায়ক৷আমরা স্যারের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত ৷ তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।