সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার, নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ করা তথ্যগুলো ‘পক্ষপাতদুষ্ট’। বুধবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘সরকারবিরোধী এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। অবশ্যই তাদের পুরো প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি না। কারণ, সেখানে অনেক ভালো কথাও বলা আছে। তবে সার্বিকভাবে মানবাধিকার, নির্বাচন এবং গণতন্ত্র সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে পক্ষপাতদুষ্টতা রয়েছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিবেদন সেটি আসলে একপেশে এবং পক্ষপাতদুষ্ট। সরকারবিরোধী বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন সূত্র রয়েছে। তাদের সূত্রগুলোও পক্ষপাতদুষ্ট। নির্বাচন নিয়ে যে কথা সেটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও তো অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনো নির্বাচনের পরাজয় মেনে নেননি। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটেল হিলে হামলা হয়েছে তেমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাতো বাংলাদেশে কখনো ঘটেনি।’
ড. হাছান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার আগে প্রশ্ন তোলার আগে তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে বা তাদের নির্বাচন-পরবর্তী ক্যাপিটেল হিলে হামলার যে ঘটনাগুলো দিকে তাদের তাকানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এখন দেখতে হবে, ভবিষ্যতে অন্য কোনো বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার বা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝেমধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলে। দেখুন, যুক্তরাষ্ট্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সবচেয়ে বেশি। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পুলিশের গুলিতে ৭ হাজার ৬৬৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২০ সালে ৯৯৬ জন। ২০২১-২২ সালে গড়ে এক হাজার জন। যে দেশে বছরে গড়ে এক হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে মারা যায় সে দেশের সরকার অন্য দেশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার কতটুকু রাখে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের মতিউর রহমান তালুকদার, বজলুর রহমান মিলন, খায়রুল ইসলাম, তানভীর হোসাইন, আমিনুল ইসলাম, আব্দুল গফুর, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ, শাহাদাত হোসেন, আব্দুল কাদির, হামিদুর রশিদ খান, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজ পেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের আলমগীর হোসেন খান, শামীম চৌধুরী, কামাল উদ্দিন, রাজ্জাক পাটোয়ারি, এ এইচ এম নাজমুল আহসান, মোস্তাক আহমদ, তাজাম্মেল হক, ইফসুফ আলী, আবদুল মান্নান, আতিউর রহমান ও লিয়াকত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।