তৃণমূল বিএনপিতে অর্ধশত নেতার যোগদান, ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহিত।

সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এদিকে, এবারের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন সদ্য নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দলটির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরি।

বুধবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান ও আলোচনা সভা’য় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দলটিতে যোগদান করা নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও আইনজীবী।

ঘোষণা অনুযায়ী দলে যোগদান করেছেন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সিরাজুল ইসলাম, জাপা চেয়ারম্যানের সাবেক উপদেষ্টা কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত সাব্বির আহমেদ, সাবেক জাতীয় পার্টির নেত্রী ডা. আইভীর সরকার, ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক নেত্রকোনার মোহাম্মদ আলী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সন্তোষ সারমা, এলডিপি থেকে আসা লস্কর হারুনুর রশিদ, সাভারের অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান তুষার, জয়পুরহাটের মাসুদ রেজা, নরসিংদীর নাজমুল শিকদার, শাহাদাত হোসেন, নেত্রকোনার শওকত তালুকদার, শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের শরিফুজ্জামান খান, মানিকগঞ্জের শেখ শাহিনুর রহমান, পটুয়াখালীর এনায়েতুল ইসলাম, জয়পুরহাটের মোবারক, নওগাঁর অ্যাডভোকেট আব্দুল মোতালেব, খুলনার নাদির উদ্দিন খান, নেত্রকোনার মজিবুর রহমান খান, খুলনার হাফিজুল ইসলাম, জয়পুরহাটের আবুল বাশার চৌধুরী, ফেনীর খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, গোপালগঞ্জের চার্লস বৌদ্ধ, ঢাকা-১৭ আসনের আবু বৌদ্ধ, নোয়াখালীর সৈয়দ আহমেদ, কক্সবাজার মোহম্মদ শাহ আলম, বগুড়ার সুমন মন্ডল, আবু রায়হান, সাজিদ খান, চট্টগ্রামের শাহাদাত চৌধুরী, পটুয়াখালীর দলিল উদ্দিন, টাঙ্গাইলের শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা মো. মাইনুদ্দিন প্রমুখ।

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমাদের জাতীয় কাউন্সিল হয়। আজ অসংখ্য নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে, বাংলার মানুষ একটি নতুন ধরনের রাজনীতি দেখতে চায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সর্বস্বান্ত হয়ে আজ শ্রমিকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে।

তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আসন্ন নির্বাচনে আমরা প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতা যথাযথ প্রয়োগ করে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। জনগণ ভোট দেবে। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না, সেটি লগি-বৈঠা দিয়ে হত্যা হোক কিংবা পেট্রোল বোমা দিয়ে হত্যা হোক।

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি আপনাদের অঙ্গীকার দিতে চাই যে, দলের সব সদস্য হবে এই দলের নেতা। তৃণমূল বিএনপির কাছে তাদের আসতে হবে না। তৃণমূল বিএনপি যাবে তৃণমূলের কাছে। দলীয় কমিটিসহ সব কিছু কেন্দ্রভিত্তিক হবে।