সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক ভবন। হতাহতের সংখ্যাও দেড় হাজার ছাড়ানোর পথে।
এর আগেও প্রায় একই মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৩৯ সালে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কে হতাহত হয়েছিল ১৭ হাজারের বেশি মানুষ।বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, ভূমিকম্পের তুলনায় তুরস্কে হতাহতের সংখ্যা বেশিই ঘটে থাকে। আর তার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞ ইস্তাবুল আর্থকোয়াক রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষক মুস্তাফা এরদিক বলছেন, ‘তুরস্কের ভবন নির্মাণের মান খুবই খারাপ, যে কারণে হতাহত বেশি হয়।’
তুরস্কের জাতীয় ভূমিকম্প কৌশল ও কার্য পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ১৯৫০-এর দশক থেকে নগর উন্নয়নের প্রতি খুব একটা জোর দেওয়া হয়নি। ফলে শহরগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সোমবারের ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার ভবন ধসে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটিন প্রফেসর ক্রিস এলডার্স বলেছেন, ভূমিকম্পের গভীরতা ১৮ কিলোমিটারের মতো হওয়ায় এটি আরও বিধ্বংসী হয়েছে।
কম্পন কেন্দ্রের গভীরতা কম হওয়ার ভয়াবহতার কথা জানিয়ে এই প্রফেসর বলেন, ‘ভূকম্পের কেন্দ্র অগভীর হওয়ায় গভীরে হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে এর মাত্রা বেশি অনুভূত হয়েছে।’