সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় জানা গেছে। বাকি দুই জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুতুবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন।
নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিতোডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৩৮), গোপালগঞ্জের গপিনাথপুর গ্রামের হেদায়েত মিয়া বাহার (৪২), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামের বকু সিকদারের ছেলে ফরহাদ সিকদার (৩০), গোপালগঞ্জের পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনাদী রঞ্জন মণ্ডল (৪২), গোপালগঞ্জ সদরের বনগাঁও এলাকার সামছুল শেখের ছেলে মোস্তাক শেখ (৩০), গোপালগঞ্জ সদরের ছুটকা গ্রামের নশর আলী শেখের ছেলে সজিব শেখ (২৬), গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামের মাসুদ মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার (২২), গোপালগঞ্জর টুঙ্গিপাড়ার নিলফা গ্রামের কাঞ্চন শেখের ছেলে কবির শেখ, গোপালগঞ্জ সদরের আবু হেনা মস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি (২০), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের আদমপুরের আমজাদ আলী খানের ছেলে মাসুদ খান (৩২), খুলনার সোনাডাঙার শেখ আহমেদ আলী খানের ছেলে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪২), খুলনার চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের ছেলে চিন্ময় প্রসন্ন মণ্ডল, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পরিমল সাধুর ছেলে মহাদেব কুমার সাধু, খুলনার টুটপাড়ার শাজাহান মোল্লার ছেলে আশরাফুল আলম লিংকন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখীপুর গ্রামের আমজেদ আলী সরদারের ছেলে রাশেদ সরদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার অনন্তপুর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে জাহিদ ও গোপালগঞ্জ সদরের পুরান মানিকদি গ্রামের ইমাদ বাসের সুপারভাইজার মিনহাজ বিশ্বাস (২২)।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস সকালে শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হন। শিবচর হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় শিবচরে ১৭ জন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মিনহাজের চাচাতো ভাই সাব্বির বিশ্বাস এসে লাশ শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘মিনহাজ ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার ছিলেন।’