সারাবিশ্বডটকম রিপোর্ট: ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট নিয়ে বিপাকে এলপিজি ব্যবসায়ীরা। ডলারের রেট একেক ব্যাংক একেক রকম নির্ধারণ করাতে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বাংলাদেশ ব্যাংকে দৌড়ঝাঁপ করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি।
বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সোমবার (২ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বলে দিয়েছে, প্রতিদিনের চাহিদা এবং সরবরাহ বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকগুলো ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।
আব্দুল জলির বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা এলপিজি আমদানির জন্য ডলার এক্সচেঞ্জ রেটে এলসি করেছে। সেখানে এইচএসবিসি ৯৮ দশমিক ২৫ টাকা, এমটিবি ১০৪ টাকা, জনতা ব্যাংক ১০১.৫০ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ১০৭ টাকা, ডাচ বাংলা ব্যাংক ১০৬ টাকায় এলসি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৪ টাকা ডলারের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন এলসির ভিত্তিতে ডলারের দাম নির্ধারণ করে এলপিজির দাম নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীরা পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির জন্য নতুন করে দাম নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে।’
এলপিজির দাম নির্ধারণের দিন আজ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এলপিজির নির্ধারিত দামের আদেশে সই করতে চাননি। শেষ পর্যন্ত এইচএসবিসির সর্বনিম্ন এক্সচেঞ্জ রেট ধরে এলপিজির দাম নির্ধারণ করার আদেশে সই করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা মৌখিকভাবে তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির সদস্য আবু ফারুক আরও বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু খুব একটা আশাব্যঞ্জক কিছু হওয়ার খবর দিতে পারেননি তারা।’