সারাবিশ্বডটকম অনলাইন ডেস্ক: চলমান লকডাউন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার পর থেকেই সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা হাওর ভ্রমণ করার জন্য নৌকার মাঝিদের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে হয়। পর্যটকদের অভিযোগ একটি ছোট নৌকা নিয়েও হাওরে ঘুরতে গেলে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এ ক্ষত্রে মাঝিরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন বলে দাবি পর্যটকদের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তাহিরপুর ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য নৌকা ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ভাড়া নির্ধারণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাহিরপুর সদর বাজার থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার হয়ে ট্যাকরেঘাট ঘুরে পুনরায় সদর বাজারে ফিরে আসাসহ প্রতিটি ছোট নৌকা ৪ হাজার টাকা, বড় নৌকা ৮ হাজার টাকা এবং বড় স্টিলের নৌকা ১ দিনের জন্য ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কামরুল হাসান বলেন, আমরা ৫ থেকে ৬ জন বন্ধু টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরতে এসেছি। বিকেলে নৌকায় উঠে পরদিন সকাল ১০টায় নৌকা থেকে নেমেছি। আমাদের কাছ থেকে শুধু নৌকা ভাড়ার জন্য ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ বিগত বছরে ৪ হাজার টাকা দিয়ে সারা দিন নৌকায় ভ্রমণ করেছি।
পর্যটক মুক্তাদির আহমেদ বলেন, আমরা ১৫ জন হাওর ভ্রমণে এসেছি। একটি স্টিলের নৌকা ভাড়া নিয়ে সারা দিন ভ্রমণ ও রাত্রিযাপন শেষে পরদিন সকালে তাহিরপুর সদর বাজারে নেমে ২৭ হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছি। যা আমাদের অতিরিক্ত বলে মনে হয়েছে।
তাহিরপুর ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে পর্যটকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা নৌকা ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, পর্যটকদের ভ্রমণে নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকার ভাড়া অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমরা খুব শিগগিরই নৌকা ভাড়া নির্ধারণ করে দেব।