
সারাবিশ্বডটকম অনলাইন ডেস্ক: গ্যাস বিতরণের তথ্য জানতে ৪৪ বিতরণ এলাকায় ৪৪টি মিটার স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। এখন কোথায় কী পরিমাণ গ্যাস বিতরণ হচ্ছে, তার তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানার কোনও উপায় নেই। মাস শেষে মিটার রিডিং ছাড়া এগুলো জানা যায় না। ফলে কেউ কোথাও অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করলে সেটি ধরা যায় না। মিটারগুলো স্থাপন করা হলে এই সমস্যা কেটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এত দিন কোথায় কী পরিমাণ গ্যাস বিতরণ হচ্ছে তার তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানার কোনও উপায় ছিল না। এটি নিয়ে বারবার আলোচনা হলেও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এবার জ্বালানি বিভাগ এ বিষয়ে শক্ত অবস্থানে গেছে। এসব মিটার খুব দ্রুত স্থাপনের জন্য পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানকে জ্বালানি বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন নির্দেশনা দিয়েছেন।
জানতে চাইলে জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে কোন বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন কী পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, এই বিদ্যুতের কতটা কোন বিতরণ কোম্পানি ব্যবহার করছে এটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই জানা সম্ভব হচ্ছে। এটি গ্যাসের ক্ষেত্রেও করা সম্ভব। একেবারে রিয়েল টাইম ডাটা বা তথ্য পাওয়া যাবে। আমরা এখন দেশের অভ্যন্তরীণ খনি থেকে গ্যাস তুলছি তেমন নয়- জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করে সেগুরো ভাসমান টার্মিনাল বা এফএসআরইউ এর মাধ্যমে গ্রিডে সরবরাহ করছি। ফলে সব তথ্য একেবারে রিয়েল টাইম হওয়াটা জরুরি।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের বৈঠকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা খুব কম সময়ের মধ্যে গ্যাস সঞ্চালন কোম্পানি জিটিসিএল এবং বিতরণ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, যেসব পয়েন্ট দিয়ে সঞ্চালন কোম্পানি গ্যাস বিতরণ কোম্পানিকে গ্যাস সরবরাহ করে সেসব জায়গায় এসব মিটার স্থাপন করবে। এসব মিটার স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। শুধু মিটার স্থাপন করলেই হবে না, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। এসব মিটারের তথ্য সব সময় জ্বালানি বিভাগের ড্যাশবোর্ডে দেখা যাবে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে ড্যাশবোর্ডের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিষয়টি সবার নজরে আসে। হাইড্রোকার্বন ইউনিট ড্যাশবোর্ড উন্নয়নের কাজ করছে। হাইড্রোকার্ন ইউনিট থেকে বলা হয়েছে শুধু গ্যাস নয়, কোন ডিপোতে কী পরিমাণ জ্বালানি তেল রয়েছে তাও জানা প্রয়োজন। এজন্য সেখানেও মিটার বসানো জরুরি। তবে এখনও জ্বালানি তেলের বিষয়ে কী করা হবে সে বিষয়ে জ্বালানি বিভাগ থেকে কোনও নির্দেশনা আসেনি।