সারাবিশ্বডটকম রিপোর্ট: অতি সংক্রমণশীল ডেল্টাসহ করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে তৈরি ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করেছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বানরের শরীরে (অ্যানিমেল ট্রায়াল) যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছিল, তাতে এর কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ট্রায়ালের কাজ আগামী বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত যে ফলাফল সেটা ইতোমধ্যে আমরা পেয়ে গেছি। বানরের পরীক্ষায় এ টিকা নিরাপদ এবং কার্যকর অ্যান্টিবডি পেয়েছি।
এর আগে গত ১ অক্টোবর তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, প্রাণী দেহে ট্রায়াল শেষ হবে অক্টোবরে, অনুমতি মিললে হিউম্যান ট্রায়ালে যাবে বঙ্গভ্যাক্স।
তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য কবে আবেদন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন রিপোর্টের কাজ করছি। আগামী সপ্তাহে বিএমআরসিতে রিপোর্ট জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।’
‘আমরা খুবই আশাবাদী বিএমআরসি আমাদের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেবে। কারণ, তাদের যেসব কোয়েরি ছিল, সেগুলোর সবই করা হয়েছে।’
এর আগে গত ১ অক্টোবর ড. মহিউদ্দিন বলেছিলেন, বানরের শরীরে বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল আগস্ট মাস থেকে শুরু হয় এবং সেটা চলতি মাসেই (অক্টোবর) শেষ হবে। এরপর সে রিপোর্ট বিএমআরসিতে জমা দেওয়া হবে। তাদের কাছ থেকে অনুমোদন পেলেই হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হবে।
ড. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহেও অনুরূপভাবে কাজ করবে।’
‘প্রাথমিক ফলাফলে বঙ্গভ্যাক্স বানরে নিরাপদ এবং কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম বলে প্রতীয়মান হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফলে এ টিকাটি ডেল্টাসহ অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে’- যোগ করেন তিনি।
‘সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন টিকা দেওয়া হয়েছে, বুস্টার ডোজ হিসেবেও বঙ্গভ্যাক্স দেওয়া যাবে।’
ড. মহিউদ্দিন বলেন, ‘এ টিকাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এক ডোজেই অ্যানিমেল ট্রায়ালে কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আশা করছি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অনুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে। আর এই টিকা চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস এবং মাইনাস ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।’