সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে, তবে মৃত্যু বেড়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে শনাক্ত হারও।
গত ২৪ ঘণ্টায় (২৯ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে ৩০ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬৬ জন, গতকাল ২৯৪ জন শনাক্ত হবার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল, ১৩৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে, গতকাল সাত জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার নেমে এসেছে এক দশমিক ২৫ শতাংশে। গতকাল যা ছিল এক দশমিক ৭১ শতাংশ।
করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হওয়া ১৬৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২৮ জন আর মারা যাওয়া আট জনকে নিয়ে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ২৭ হাজার ৮৬২ জন।
অধিদফতর জানাচ্ছে, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৩ হাজার ১০৫টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ২৪০টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি তিন লাখ ৩২ হাজার ৬৪৪টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ ১৫ হাজার ১৭৯টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৮ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৫টি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থ হয়েছেন ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আট জনের মধ্যে পুরুষ ছয় জন আর নারী দুইজন।
তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৮৪০ জন আর নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ২২ জন। তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে রয়েছেন তিন জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এক জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন এক জন।
মারা যাওয়া আট জনের মধ্যে অর্ধেক রোগীই ছিল ঢাকা বিভাগের। এ বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন চার জন। বাকি তিন জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের রয়েছেন দুই জন আর খুলনা বিভাগ ও সিলেট বিভাগের আছেন এক জন করে।
অধিদফতর জানাচ্ছে, তাদের মধ্যে সাত জনই সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।