সারাবিশ্বডটকম রিপোর্ট: সম্ভাবনাময় দেশে দেশে বিদ্যমান যুব শক্তিকে উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার প্রয়াসে গণ-সচেতনতার জন্য এর আগেই জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে আন্তর্জাতিক যুববর্ষ ঘোষনা করে। তারই ধারাবাহিকতা ১৯৯৯ সালের ১৭ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালনের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছিল। দিনটি প্রথম পালিত হয় ২০০০ সালে।
তাই জাতিসংঘের দশটি ক্ষেত্রে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়; যেমন- শিক্ষা, কর্মসংস্থান, ক্ষুধা ও দারিদ্র, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, যুব সমাজে মাদকের অপব্যবহার, কিশোর-কিশোরী অপরাধ, অবসরের কর্মকান্ড, বালিকা, যুব, মহিলা এবং সমাজ জীবনে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুবকদের পূর্ণ এবং কার্যকর অংশগ্রহণ বিষয়কে অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে র্যালি করে সংগঠনগুলি। রেলি শিশু একাডেমি হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়।ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি মো. শুকুর সালেক বলেন, এবছর আন্তর্জাতিক যুব দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় : আন্ত:প্রজন্ম সংহতি সকল বয়সীদের জন্য একটি বিশ্ব তৈরি করা। সমাজের সব স্তরের লোকদের জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করাতে হবে।জাতিসংঘের এই টেকসই উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীকে রক্ষা করা যেন ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষ শান্তি এবং সমৃদ্ধশীল সমাজে বসবাস করতে পারে। যুবরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই দেশ ও সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যুবরাই দেশের সবচেয়ে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। তাই টেকসই উন্নয়নে যুবকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংগঠন ফেডারেশনের সভাপতি দুলাল বিশ্বাস, হোপ’৮৭ এর কান্ট্রি ম্যানেজার রেজাউল করিম বাবু, মৈত্রী সমাজ কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহম্মেদ চৌধুরী, হিন্দু যুব কল্যাণ সমিতির অসিত মজুমদার, সুনামগঞ্জের আহমদাবাদ যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি মোকাম্মেল চৌধুরী মেনন, সিরাজগঞ্জের যমুনা সাইন্সকাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রুস্তম, আগামী বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ওমর ফারুক সম্রাট, ঢাকা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মনির হোসেন মন্টু, ঢাকা ইয়ুথ সার্কেল ওয়েলফেয়ার অরগানাইজেশনের সভাপতি মো. আরজু হোসেন প্রমুখ।