সারাবিশ্বডটকম অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবগঠিত মন্ত্রিসভার আকার আরও বাড়তে যাচ্ছে।বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৩৬ জন।নতুন করে এর আকার বাড়িয়ে ৪৫-৪৮ জনের মন্ত্রিসভা করা হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা গেছে।চলতি মাসের শেষ দিকে নতুন আরও ৭-১০ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।নতুন করে কারা আসছেন মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে দলের ভেতরে বাইরে চলছে নানান আলোচনা।
গতবারের মতো এবারের মন্ত্রিসভায়ও অনেক বেশি নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে, তাতে অর্ধেকের বেশি নতুন মুখ।তাই কেউ কেউ অবশ্য অভিজ্ঞতার ঘাটতির কথাও বলছেন।
টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো গত ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীসহ ২৯৮ জন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন।এর একদিন পরে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।এরপর ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।মন্ত্রীদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট হিসেবে দুইজনেক মন্ত্রীর দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে।
গতবারের মতো এবারও শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় এখনো পর্যন্ত সবাই আওয়ামী লীগের।শরিক দলের কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। গত মন্ত্রিসভার ১৫ জন মন্ত্রী ও ১৩ জন প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
গতবারের মতো এবারের মন্ত্রিসভায়ও অনেক বেশি নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তাই সামনে যে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য যুক্ত করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী সেখানেও চমক থাকবে বলে ধারণা করছেন নতুন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় নতুন করে আলোচনায় যারা:
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম আলোচনায় আছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন আসাদুজ্জামান নূর ও ঢাকা-১০ আসনের এমপি ফেরদৌস আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন কুমিল্লা-১ আসনের এমপি, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর।
সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও এনামুল হক শামীমকে নতুন করে আনা হতে পারে মন্ত্রিসভায়। এছাড়া নৌ-পরিবহন মন্ত্রী পদে আলোচনায় শাজাহান খান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গত সরকারে (টেকনোক্র্যাট) মন্ত্রী ছিলেন তিনজন।তাদের মধ্যে একজনকে এবারও সরকারে রাখা হয়েছে। এর বাইরে টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রীর দায়িত্বে এসেছেন আরও একজন।তাই নতুন করে মন্ত্রিসভার আকার বাড়লে আরও একজন টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন।এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিক জোটে আসন পেয়েছে দুইটি।গতবারের শরিক দলের কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তাই এবার শরিকদের মধ্যে এমপি হওয়া দুইজনের মধ্যে একজনকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মন্ত্রী হবেন কারা, কে কে মন্ত্রিসভায় আসবেন- এটা একান্ত প্রধানমন্ত্রী জানেন। তবে সরকারের প্রয়োজনে মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে।
গত ১০ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসাবে প্রথমে শপথ গ্রহণ করেন বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের ২৯৮ জন সংসদ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান।এর একদিন পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন ৩৬ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান।গত ৭ জানুয়ারি সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।