আইজিপি’র মেয়াদ বাড়তে পারে

ছবি-সংগৃহিত।

সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ২০২৩ সালের ১১ই জানুয়ারি চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। তিনি কি আইজিপি থেকে যাচ্ছেন না নতুন কোনো মুখ আসছে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তা নিয়ে চলছে জল্পনা। তবে চলতি আইজিপি’র  মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পুলিশের কয়েক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সক্রিয় রয়েছেন। চাকরির মেয়াদ না বাড়লে ১২ই জানুয়ারি থেকে তার অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা রয়েছে। গত মঙ্গলবার তার মেয়াদ বাড়বে কি বাড়বে না তার একটি সারসংক্ষেপ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তার মেয়াদ ৬ মাস বাড়তে পারে। চাকরিকালীন তিনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে ঊর্ধ্বতন মহলে সুনাম আছে। তিনি সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এক বছর না করে ৬ মাস বাড়ানোর কারণ হিসেবে জানা গেছে যে, নির্বাচনকালীন নতুন আইজিপি’র দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা বেশি। যদি তার মেয়াদ না বাড়ে তাহলে নতুন আইজিপি পদে দুই জনের নাম আলোচনায় আছে।

তারা হলেন- র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন এবং পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) মো. মনিরুল ইসলাম। 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক উপ-সচিব গতকাল মানবজমিনকে জানান, ‘১১ই জানুয়ারি বর্তমান আইজিপি’র মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। গত মঙ্গলবার তার একটি সারসংক্ষেপ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে এসেছে। তার মেয়াদ ৬ মাস বাড়তে পারে।’ 

র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। ১৯৯০ সালে ১২তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা। খুরশীদ হোসেন ১৯৯১ সালের ২০শে জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ২০২১ সালে অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) পদে পদোন্নতি পান। র‌্যাবের ডিজি হওয়ার আগে তিনি পুলিশ সদর সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (অপারেশন) বিভাগে অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। উত্তরাঞ্চলে চরমপন্থি ও সন্ত্রাস  দমনে তার সুখ্যাতি রয়েছে। 
ওদিকে অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) মো. মনিরুল ইসলাম ১৫তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। জঙ্গি দমনে তার সুখ্যাতি রয়েছে। 

সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে মনিরুল ইসলামকে ডিএমপি কমিশনার পদে মনোনীত করেছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওই দায়িত্ব পালন করতে অনীহা প্রকাশ করেন।