সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘আমাদের দেশের ৩০ লাখ শহীদ যদি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করতে পারে সেখানে এদেশের জনগণ অন্য দেশের মাতব্বরি কখনো মেনে নেবে না। নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে জনগণই দেখবে, অন্য কারো দেখার দরকার নেই।’
জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু কিছু কূটনীতিক কারো কারো বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাজির হচ্ছে, এ কি আশ্চর্য। আমাদের রাজনীতি নিয়ে কোনো কূটনীতিকের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এটা নির্ধারণ করবে আমাদের জনগণ। আমাদের কোনো প্রভু নেই, আমাদের প্রভু হলো জনগণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে হস্তক্ষেপ করা এক ধরনের দায়িত্বহীন কাজ। আমরা কি তাদের রাজনীতি নিয়ে কথা বলি?’
‘আমরা শুনেছি আমেরিকান নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ, কিন্তু আমেরিকার ইলেকশন নিয়ে কি আমরা কথা বলেছি, মালয়েশিয়ার ভোট নিয়ে আমরা কি কোনো কথা বলেছি। যদিও এসব দেশে ভোট কারচুপির খবর প্রকাশ হয়েছে।’
তিনি বলেন, কূটনীতিকদের প্রেসক্রিপশন কেয়ারটেকার গর্ভনমেন্ট, সর্বদলীয় সরকার ও অন্তবর্তীকালীন সরকার করতে হবে? এসব সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে? এসবের কোনো বিধান আমাদের সংবিধানে নেই।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম আরো বলেন, ১৯৭১ এ তো অনেকে আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে অন্য পক্ষে গিয়েছিলেন, অস্ত্র, টাকা দিয়ে ছিলেন, স্বাধীনতাকে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু স্বাধীনতা রুখতে পারেননি। এবারেও পারবেন না। আমাদের নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে, কে আসলো, কে আসলো না তা আমাদের দেখার বিষয় না। ‘৭০ সালে ন্যাপ, ভাসানী সাহেব নির্বাচনে অসেননি। আজকে তার পার্টি কোথাও।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এবারে যদি তোমরা নির্বাচনে না আসো তাহলে তোমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। ভাসানীর ন্যাপ আর মুসলিম লীগের মতো হবে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কখনো টিকে থাকেনি, তোমরাও টিকতে পারবা না।’