সারাবিশ্বডটকম নিউজ ডেস্ক: নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ২০ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এই ভবনের নকশা অনুমোদন না দিলেও গুলশান ১ নম্বর সার্কেলে গুলশান এভিনিউসংলগ্ন ৫৯ ও ৬০ নম্বর প্লট মিলিয়ে বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নকশা অনুমোদনের জন্য রাজউকে আবেদন করলে বিষয়টি একাধিকবার আলোচনা হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা আর অনুমোদন দেয়নি সংস্থাটি। জানা যায়, গুলশানের এ ভবনটি ২০২০ সালের আগে নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণে রাজউক অনুমোদন দেয় ১৪ তলার। পরবর্তীতে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ২০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। সে সময় রাজউক থেকে চিঠিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় লোটাস কামাল প্রোপার্টিজ আইনি তোয়াক্কা না করে ভবনে তালার সংখ্যা বাড়িয়েছে। পরবর্তীতে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে যে ছয় তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল, সেটার অনুমোদন পেতে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাজউকে আবেদন করেন আ হ ম মুস্তফা কামালের দুই মেয়ে। আবেদনে জরিমানা দিয়ে ১৪ তলার ওপর ৬ তলা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের অনুমোদন চাওয়া হয়। এরপর বিষয়টি রাজউকের পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন (বিসি) কমিটিতে তোলা হয়। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি কমিটির এক সভায় বলা হয়, বিদ্যমান প্লটে তিনটি বেসমেন্টসহ ১৪ তলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের অনুমোদন পেতে হলে রাজউকের ভূমি শাখার ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের ছাড়পত্র, প্রকৌশলী ও স্থপতির লে-আউট নকশা, রাজউকের বৃহদায়তন প্রকল্পের অনুমোদন এবং ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য কাঠামোগত উপযোগিতার বিষয়ে স্থাপত্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালে রাজউক নকশা ব্যত্যয় ও ত্রুটিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করে। ওই সময় সংস্থাটি মোট আটটি অঞ্চলে ১ হাজার ৮১৮টি বহুতল ভবন পায়। যেগুলোর অধিকাংশই নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। এর মধ্যে এই ভবনটি ছিল অন্যতম।গুলশানের ওই ভবনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, গুলশানের এই ভবনটির বিষয়ে আমার জানা নেই। এ সম্পর্কে অথরাইজ অফিসাররা বলতে পারবেন।